বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : মোবাইল অপারেটর কোম্পানির মধ্যে গ্রামীণফোনের পরে শেয়ারবাজার থেকে টাকা সংগ্রহ করতে আসছে রবি আজিয়াটা। তবে গ্রামীণফোন ১২ বছর আগে যেটা করতে পেরেছিল, রবি এখনো তা করতে পারেনি। অথচ কোম্পানিটি গ্রামীণফোনের আগে যাত্রা শুরু করেছিল। ২০০৯ সালে গ্রামীণফোন প্রতিটি শেয়ার ৭০ টাকা করে ইস্যু করেছিল। কিন্তু রবি আজিয়াটা এখনো শেয়ারপ্রতি ১ টাকাও পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। বরং প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার দর মূল্যায়ন এখনো ঋণাত্মক।
রবির প্রসপেক্টাসেই শেয়ার দর মূল্যায়নের এমন তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে যেকোন কোম্পানির শেয়ার দর বিবেচনায় ‘হিস্ট্রোরিকাল আর্নিংস বেজড ভ্যালু পার শেয়ার’ পদ্ধতিকে সর্বোচ্চ বিবেচনায় নেওয়া হয়। এক্ষেত্রে প্রথমে কোম্পানির শেষ ৫ বছরের ওয়েটেড শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) নির্ণয় করা হয়। যেটাকে শেষ ৩ মাসের গড় মূল্য-আয় অনুপাত (পিই রেশিও) দিয়ে গুণ করে শেয়ার দর মূল্যায়ন করা হয়। এই পদ্ধতিতে রবির শেয়ার দর মূল্যায়ন হয়েছে ঋণাত্মক ১.৪৭ টাকা।
রবির প্রসপেক্টাস অনুযায়ি, কোম্পানিটির গত ৫ বছরের ওয়েটেড ইপিএস ঋণাত্মক ০.১৩ টাকা। আর ৩ মাসের গড় পিই ১১.৩২। যা দিয়ে গুণ করলে শেয়ার দর মূল্যায়ন হয় ঋণাত্মক ১.৪৭ টাকা। অর্থাৎ এই পদ্ধতি অনুযায়ি রবি শেয়ার ইস্যুর ক্ষেত্রে কোন টাকা পাওয়ার যোগ্যতা এখনো অর্জন করতে পারেনি।
শেয়ারবাজারে বিগত কয়েক বছরের মধ্যে অভিহিত মূল্যে আসা কোন কোম্পানির শেয়ার দর মূল্যায়ন ১০ টাকার নিচে হতে দেখা যায়নি। সব কোম্পানিরই মূল্যায়ন হয়েছে ১০ টাকার উপরে। এছাড়া শেয়ারবাজারের ইতিহাসে ঋণাত্মক শেয়ার দর মূল্যায়ন নিয়ে কোন কোম্পানি অর্থ সংগ্রহ করতে পেরেছে বলে এ বাজারের কেউ মনে করতে পারছেন না।
আরও পড়ুন…..
ইতিহাসের সবচেয়ে কম ইপিএস নিয়ে শেয়ারবাজারে আসার অপেক্ষায় রবি
বিজনেস আওয়ার/২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০/আরএ
13 thoughts on “রবি শেয়ারপ্রতি ১ টাকা পাওয়ারও যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি”